জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদকে জবাই করে হত্যা করে ওমানে দুর্বত্তরা গত ১৫ নভেম্বর। গতকাল নিজ গ্রামে রাশেদের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহতের জানাযায় সকাল থেকে মানুষের ঢল নামে। শিলক ইউনিয়নের মিনাগাজীর টিলা বায়তুল মামুর জামে মসজিদ মাঠে সকাল ১১ টায় রাশেদের জানাযা সম্পন্ন হয়। যানাযায় জামে সমজিদের বিশাল মাঠ সর্বস্তরের জনসাধারণের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়। রাশেদকে একনজর দেখার জন্য ব্যপক ভিড় লেগে যায়। জানাযার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন রাশেদ হত্যাকারী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানায়। গত ২৮ নভেম্বর ওমান থেকে রাশেদের লাশ চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে রাখা হয়। গত ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাশেদের লাশ তার গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। জানাযা শেষে রাশেদের বাবা হাজী সিরাজুল হক তালুকদার জানান শিলক ইউনিয়নে এক যুবকের কাছে সহ আমার ছেলেকে জবাই করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ বাথরুমে লুকিয়ে রাখে। আমি আমার ছেলের হত্যা কান্ডের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবী করছি। প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। এই বিষয়ে চট্টগ্রাম কোডে একটি হত্যাকান্ড মামলা রুজু করা হয়। গতকাল রাশেদের জানানায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা হলেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ্, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা নজুরুল ইসলাম তালুকদার, কাজী জসিম, ভাইস চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, যুবলীগ সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ চৌধুরী, মুজিবুল ইসলাম শরফী, আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল হোসেন, নুর নবী সওদাগর, কাশেম মাস্টার, মোঃ ইউনুছ, আবু তাহের মেম্বার, সহ-সভাপতি শেখ মুজিব, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর বিশ্বাস, সাজু সিকদার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নাছির উদ্দিন রিয়াজ প্রমূখ।